মো রিফাত মিয়া শেরপুর প্রতিনিধিঃএকের রক্তে অন্যের জীবন, রক্তই হোক রক্তসৈনিকের বন্ধন’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে শেরপুরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘রক্তসৈনিক বাংলাদেশ’র দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। এ উপলেেক্ষ ২৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত শোভাযাত্রা, কেক কাটা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়। এতে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসান নাহিদ চৌধুরী।

এ সময় তিনি রক্তসৈনিক বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সেইসাথে যেকোন প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। রক্তসৈনিক বাংলাদেশের সভাপতি, বিশিষ্ট সমাজসেবী রাজিয়া সামাদ ডালিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (উপসচিব) এ টি এম জিয়াউল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ফিরোজ আল মামুন, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মোবারক হোসেন, শেরপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শিবশঙ্কর কারুয়া শিবু, জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান নাসরিন রহমান, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মানবাধিকার কর্মী শামীম হোসেন, প্রথম আলোর শেরপুর প্রতিনিধি দেবাশীষ সাহা রায়, রক্তসৈনিক শ্রীবরদীর উপদেষ্টা শাকের মুহম্মদ আব্দুল্লাহ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন রক্তসৈনিক বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আল আমিন রাজু। আলোচনা সভা শেষে অতিথিরা রক্তসৈনিকের একদশক পূর্তির কেক কাটেন। সন্ধ্যায় স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এর আগে সংগঠনের দশ বছর পূর্তি উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় এখানে এসে শেষ হয়। এতে রক্তসৈনিক বাংলাদেশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে একদল উদ্যমী স্বেচ্ছাসেবী যুবকের উদ্যোগে রক্তসৈনিক বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়।

জরুরি প্রয়োজনে যেকোন সময় রক্তদান, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, করোনাকালীন সময়ে বিনামূলে অক্সিজেন সেবাসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে আসছে সংগঠনটি। এবার সংগঠনটির এক দশক পূর্তি উপলক্ষে ১০টি উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে ১০ জন থ্যালাসেমিয়া রোগীর সারাবছরের রক্ত সরবরাহ, ১০ ব্যাগ রক্তদান, ১০টি বৃক্ষরোপণ, ১০ জন হতদরিদ্রকে উন্নত হোটেলে খাওয়ানো, ১০ জন ব্যক্তিকে বস্ত্র সহায়তা, ১০ বক্স মাস্ক বিতরণ, ১০টি মশারী বিতরণ, ১০টি ঝুড়ি বিতরণ, ১০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ, ১০ সারি মাল্টার গাছ লাগানো।